শনিবার ভোরে চরপার্বতী ইউনিয়নের কেন্দ্রাতলি সোয়ানীরটেক এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান।
আহত আবুল কালাম আজাদ (৩৪) চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সুফিয়ান হত্যা মামলার আসামি। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল জানান।
এরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল হুমায়ুন ও জয়নাল। পুলিশ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে আজাদকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালীতে নিয়ে আসা হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আজাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায়।
“এ সময় চরপার্বতী ইউনিয়নের কেন্দ্রাতলি সোয়ানীর টেক এলাকায় একই মামলার আরেক আসামি আব্দুল মালেক ইয়াছিনের নেতৃত্বে ৭-৮জন সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আজাদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।”
“উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হলে ডান হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয় আজাদ। এ সময়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।”
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আজাদের শরীরের অস্ত্রোপচার চলছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জহিরুল জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৪ অগাস্ট চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সুফিয়ানকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এর প্রধান আসামি আজাদের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।