প্রশাসনের বাধায় তুষারের লাশ ক্যাম্পাসে নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতাদের। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা এড়াতে লাশ ক্যাম্পাসে না নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তুষার শুক্রবার বিকালে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস থেকে ছিটকে পড়ার পর কভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেলের কলেজ হাসপাতালের পাশে জানাজা শেষে ভোলার তুষারের গ্রামের বাড়িতে লাশ পাঠানো হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তুষারের লাশ ক্যাম্পাসে নিয়ে জানাজা অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুষার ছাত্রদল করে বিধায় প্রশাসন থেকে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।”
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ গ্রামের ছেলে তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
সৈকত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনেক নীচু ও অসুস্থ রাজনৈতিক মানসিকতার পরিচয় দিল। তারা মৃত এক শিক্ষার্থীর জানাজা দেওয়া নিয়েও রাজনীতি করে! ভাবতেই লজ্জা লাগে, আবার এরাই আমাদের শিক্ষক!”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তপন কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের (ছাত্রদল নেতা) অনেকের নামে থানায় মামলা রয়েছে। তারা ক্যাম্পাসে এলে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
“পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তাই এই শোকের পরিবেশে নতুন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে জানাজা না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
তবে তুষারের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়াসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।