শুক্রবার দুপুরে লঞ্চ মালিক সমিতির উদ্যেগে পুলিশের সহযোগিতায় সুরভী ও গ্রীন ওয়াটার-৫ নামে দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বরিশাল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে গত সোমবার রাত ১২টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১৪টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তবে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চ চলাচল অব্যাহত আছে।
বরিশাল অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি শেখ আব্দুর রহিম বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করে কোনো ফল না আসায় মালিক পক্ষ নিজেরাই লঞ্চ পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।
“এর অংশ হিসেবে দুপুর আড়াইটা ও বিকাল ৪টায় দুটি লঞ্চ ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।”
এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জ রুটে লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পর্যায়ক্রমে সবগুলো রুটেই লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে বলে শেখ আব্দুর রহিম জানান।
সারাদেশে নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চতুর্থ দিনেও রাজধানীর সদরঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল অব্যাহত আছে।
শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৩টি লঞ্চ সদরঘাটের বিভিন্ন জেটিতে ভিড়েছে। ছেড়ে গেছে চারটি।
মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুননির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি -চাঁদাবাজি বন্ধ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশের সবগুলো নদীবন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌযান শ্রমিকরা।
ধর্মঘটে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেও কোনো সমাধান আসেনি। তবে ধর্মঘটের মধ্যেও সারাদেশের লঞ্চ যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।