বৃহস্পতিবার ভোরে সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে বলে ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক জানিয়েছেন।
আটক জুয়েল হোসেন (৩০) একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি নিহত রজ্জ বানু (৮০) ও ফালুজ উদ্দিন বেপারীর (৯৩) মেয়ের ঘরের নাতি।
হামলায় গুরুতর আহত ফালুজকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ওসি রিজাউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নানা-নানির সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়েল তাদের উপর চাপ দিয়ে আসছিল।
“কিন্তু তা না পেয়ে মাদকাসক্ত জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ঘুমন্ত নানিকে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। নানাকেও একই কায়দায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফালুজ উদ্দিন বেপারীকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ফালুজ বেপারীর ভাতিজা মোশারফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় চাচাকে পড়তে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে চাচীকে তখন পাইনি।”
হাসপাতালে যাওয়ার পর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ফ্রিজের কার্টুনের ভেতরে রজ্জ বানুর মৃতদেহ পাওয়ার কথা বাড়ি থেকে তাকে ফোনে জানানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ নাছির উদ্দিন জানান, ফালুজ উদ্দিনের গলার একটু নিচে ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।