পদ্মায় নৌকাডুবি: ৫ লাশ উদ্ধার

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 11:27 AM
Updated : 24 August 2016, 11:27 AM

আর কোনো নিখোঁজ না থাকায় বুধবার বিকালে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিলমাড়িয়া এলাকায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত খেয়ানৌকাটি ডুবে যায়।

ওইদিনই একজনের লাশ এবং একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয় বুধবার।

লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ জানান, নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।  

“এরমধ্যে বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর বালুঘাট এলাকায় একটি মাছধরা জালের ভেতর লালপুরের চকবাদকয়া গ্রামের লালচান মণ্ডলের ছেলে জামাল উদ্দিনের (৩০) লাশ পাওয়া যায়।  

“একই উপজেলার মহরকয়া গ্রামের মসলেম আলীর ছেলে আরজেদ আলীর (৪৩) ভাসমান লাশ পাওয়া যায় বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে বাকনাই ঘাট এলাকায়।”  

চকবাদকয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে চান্দের আলী (৫৪) ও মহরকয়া গ্রামের তালুকদার আলীর ছেলে ভাসান আলীর (২৮) মরদেহ বেলা ২টার কিছু পরে বাকনাই এলাকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলাল হোসেন (৪৫) নামের একজনের লাশ ঘটনাস্থলের কাছে পাওয়া গেছে।

এনিয়ে এ নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।

চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ জানান, নিখোঁজ এক যাত্রীকে মঙ্গলবার রাতে বিলমাড়িয়া চর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহরকয়া গ্রামের নছিম উদ্দিনের ছেলে জামরুল ইসলাম (৩০)।

নৌকার যাত্রী লালপুরের মহরকয়া গ্রামের বাবর মালিথা জানান, তিনিসহ প্রায় শতাধিক যাত্রী মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বিলমাড়িয়া ঘাট থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খেয়ানৌকায় করে পদ্মার ওপারে যাচ্ছিলেন।

“ঘাট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে নৌকাটি ডুবে যায়। তিনিসহ অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে এসে পৌঁছাতে সক্ষম হন।”

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ও ডুবুরি দলের প্রধান ওমর ফারুক জানান, নাটোর ও রাজশাহী থেকে ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযানে লালপুর ও রাজশাহী ফায়ার সর্ভিসের ১৬ জন কর্মী অংশ নেন।  

নিখোঁজ সবাইকে উদ্ধার করতে পারায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান ওমর ফারুক।

লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুর আলম জানান, নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে।

লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।