নড়াইলে থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর নির্বাচন সামনে রেখে একজনকে অস্ত্রসহ আটককে কেন্দ্র করে থানার সামনেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা।

নড়াইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2016, 11:47 AM
Updated : 4 August 2016, 11:47 AM

বুধবার রাতের এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় এবং কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে আটক করে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।

তিনি জানান, লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলামের সমর্থক তেলকড়া গ্রামের উজ্জ্বলকে (৩৪) পুলিশ রাত ৯টার দিকে কচুবাড়িয়া গ্রাম থেকে দুটি পিস্তলসহ আটক করার পর ঘটনার সূত্রপাত। 

ওসি বিপ্লব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরপর চেয়ারম্যান মতিয়ার লোকজন নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশকে গালাগাল করতে থাকে। পরে থানার সামনে তার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ শটগান দিয়ে ১৫ রাউন্ড গুলি করে।”

আটক হওয়ার আগে থানার সামনে সমর্থকদের নিয়ে জড় হন মতিয়ার চেয়ারম্যান। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, উজ্জ্বলের বিচার দাবিতেই তারা থানায় এসেছেন।

তিনি বলেন, “লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলামের সমর্থক উজ্জ্বল আমাকে হত্যার জন্য কচুবাড়িয়া এলাকায় যায়।”

তবে মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম বলছেন, তিনি উজ্জ্বলকে চেনেন না। বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলমের সমর্থক মতিয়ার চেয়ারম্যানের লোকেরা কচুবাড়িয়ায় তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায় বলে দাবি করেন তিনি।

“উজ্জ্বলকে আমি চিনি না। বুধবার রাতে মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা কচুবাড়িয়া এলাকায় আমার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছে দেয়।”

পিস্তলসহ উজ্জ্বলকে আটকের ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে ওসি বিপ্লব বলেন, মতিয়ার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামী ৭ অগাস্ট লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিপি খানম; বিএনপি থেকে লড়ছেন নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর।।