সদর মডেল থানার ওসি মো. মঈনুর রহমান জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের নোহাটি এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
নিহত আনোয়ার হোসেন (৪২) রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
নিহতের মেয়ের জামাতা ছিনু মিয়াও (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, শনিবার রাতে আনোয়ার ও ছিনু মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের পথরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।
“স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারকে ঢাকায় পাঠাতে বলেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে ভৈরব এলাকায় আনোয়ারের মৃত্যু হয়।”
রামরাইল এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে বলেছেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রামরাইল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থী ইয়াছিন মিয়ার বিরোধ চলছিল। ইয়াছিনের লোকজনই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
ওসি মঈনুর রহমান জানান, হামলায় জড়িত সন্দেহে দানা মিয়া ও মুসা নামে দুই ব্যক্তিকে রাতেই আটক করেছে পুলিশ। তবে রোববার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।