বগুড়ার ৩ উপজেলায় বাঁধে ফাটল

বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট  উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ১৫টি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওইসব স্থান দিয়ে চুইয়ে পানি গড়াচ্ছে। মেরামতে কাজ চললেও বাঁধ ভাঙা ঠেকানো যাবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় সশ্লিষ্টরা।  

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2016, 04:38 PM
Updated : 29 July 2016, 04:38 PM

এর আগে ২০০৩ সালে বাঁধের ফাটল দিয়ে এভাবে পানি গড়িয়ে বাঁধ ভেঙে কয়েকশ বাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ওই সময় ধুনট, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দির একাংশ, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও রায়গঞ্জ উপজেলা প্লাবিত হয়।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, শুক্রবার যমুনার পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। 

“সোনাতলা থেকে ধুনট উপজেলা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ১৫টি স্পটে বন্যার পানি বাঁধ চুয়ে চুয়ে গড়াচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করে সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি।”

তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি টিকবে কি না, কেননা অন্যান্য নদীর চেয়ে যমুনার চরিত্র পৃথক, বলেন তিনি।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাতলা , সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বাঁধের পানি যেসব জায়গায় চুইয়ে গড়াচ্ছে ওইসব এলাকার লোকজনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা কাজ করছেন। কিন্তু বস্তা ফেলেও পানি বন্ধ করা যাচ্ছে না।  

ধুনটের ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শ্যামল তালুকদার বলেন, শিমুলবাড়ী যে জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চুয়ে পানি পশ্চিম পাশে আসছে সেখানে ২০০৩ সালে একইভাবে পানি চুইয়ে বাঁধ ভেঙে ধুনট, কাজিপুর, শেরপুরসহ অন্যান্য উপজেলা প্লাবিত হয়ে ফসলি জমিসহ বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছিল।

শিমুলবাড়ী গ্রামের মহুবর বলেন, শুধু বস্তা ফেলে আগেও পানি বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁধ রক্ষা করতে পারেনি। এবারও একই জায়গায় পানি গড়াচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গুরত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।