বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অসিত রঞ্জন পাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।
গত ২৬ জুন বুনো হাতিটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১০৫২-এর কাছ দিয়ে বানের জলে ভেসে বাংলাদেশে আসে।
ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকা থেকে এই হাতি বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাতিটি কুড়িগ্রাম, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ হয়ে বৃহস্পতিবার আবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌঁছে।
অসিত রঞ্জন পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাতিটি উদ্ধারের জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে হাতিটি সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের চর বড়বাড়িয়া বিলে অবস্থান করছে।
কামরাবাদ ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতিটি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যুক্তিগাছা চর থেকে বুধবার গভীররাতে সরিষাবাড়ীতে প্রবেশ করে।
“এ সময় স্থানীয়রা টিনের শব্দ ও আগুন জ্বালিয়ে হাতিটি তাড়ানোর চেষ্টা করে। পরে ডিগ্রি পাঁচবাড়ি, শুয়াকৈর ও বড়বাড়িয়াসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে চর বড়বাড়িয়া বিলে বন্যার পানিতে আশ্রয় নেয়।”
সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের নিরাপত্তায় ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও হাতিটির জন্য খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলা বন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর নেতৃত্বে স্থানীয় একটি প্রতিনিধি দল হাতিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।