‘জঙ্গি’ হিসেবে পোস্টার ছাপার পর ফিরলেন মুন্না

জঙ্গি হিসেবে পুলিশের পোস্টারে ছবি প্রকাশের একদিন পর বাড়ি ফিরেছেন যশোরের কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্না।

শিকদার খালিদ যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 02:15 PM
Updated : 25 July 2016, 03:23 PM

এই যুবক সোমবার কোতোয়ালি থানায় এসে দেখা করে যান বলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।

মুন্না জানিয়েছেন, দুই বছর আগে ‘রাগ করে বাড়ি’ ছেড়ে ঢাকায় এক কারখানায় চাকরি নেন তিনি।

রোববার জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পাঁচ ‘জঙ্গি’র ছবি সম্বলিত পোস্টার প্রকাশ করা হয়। সেই পোস্টারে প্রথম ছবির মানুষ হলেন মুন্না।

যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুস সোবাহানের বড়  ছেলে মুন্না।

এসপি বলেন, “যশোরে প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে আমরা জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তাদের মধ্যে মুন্না ফিরে এসেছে।”

মুন্না জঙ্গি তৎপরতায় সম্পৃক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ওপরে বাঁ থেকে মুন্না, রাব্বী, রায়হান, জিম, নাজিম

মুন্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৪ সালের জুলাই মাসে মায়ের উপর অভিমান করে ঢাকায় যাই।  পরে জিঞ্জিরায় একটি ডেকোরেটরের দোকানে কাজ করি।

“এখন পুরান ঢাকার ইসলামবাগে ‘মাইশা প্লাস্টিক’ নামে একটি কারখানায় মেশিনম্যান পদে চাকরি করছি।”

মুন্না বলেন, গত শনিবার (২৩ জুলাই) তার বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে বাড়িতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানতে পারে যে তাকে জঙ্গি হিসেবে পুলিশ খুঁজছে।

এদিকে মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, প্রমাণ না থাকার পরও পুলিশ মুন্নাকে জঙ্গি বানিয়ে পোস্টারে ছবি দিয়েছে।

তবে পুলিশ দাবি করছে, পরিবারের পক্ষ থেকে ‘জঙ্গি’ হিসেবে নিশ্চিত করার পরই তারা পোস্টার ছাপিয়েছে।

এসপি আনিসুর বলেন, “পোস্টারে ছবি দেওয়া সবার পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছিল তারা জঙ্গি।”

পুলিশকে কখনও এমন কথা বলেননি নি বলে দাবি করে মুন্নার ভাই আহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ আমাদের জিডির ভাষা বদলে দিয়েছে। আমরা লিখেছিলাম মায়ের উপর অভিমান করে আমার ভাই বাড়ি থেকে চলে গেছে। কিন্তু পুলিশ লিখেছে কলেজ থেকে নিখোঁজ।”