শোলাকিয়ার হামলাকারীর ‘আশ্রয়দাতা’ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় চিহ্নিত হামলাকারী শফিউল ইসলামকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন গাইবান্ধায়। 

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2016, 11:31 AM
Updated : 23 July 2016, 12:41 PM

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার মো. আনোয়ার হোসেন (৪৮)উপজেলার খলসি দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক।

উপজেলা সদরের পান্তাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তাকে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয় বলে র‌্যাব-১৩ এর গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক মো. কায়সার আলী জানিয়েছেন।

ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামায়াতের কাছে পুলিশের উপর হামলার পর গ্রেপ্তার মাদ্রাসাছাত্র শফিউল বলেছিলেন, গোবিন্দগঞ্জে আনোয়ারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছিলেন তিনি।

শফিউলের (২২) বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে। তিনি পড়েন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসায়।   

শফিউলকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-১৪ এর কর্মকর্তা মেজর সাইফুল সাজ্জাদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আলিম পরীক্ষা শেষ না করেই ‘ওস্তাদের নির্দেশে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে’ কিশোরগঞ্জে গিয়েছিলেন এই তরুণ।

শফিউল গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক আনোয়ারের বাড়িতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ছিলেন বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান।

র‌্যাব কর্মকর্তা কায়সার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার জানিয়েছেন, তিনি জঙ্গি শফিউল ও তার কথিত এক ভাইকে ছাড়া কাউকে দেখেননি।”

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনোয়ারের বাড়িতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ হত কি না, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে চাওয়া হবে।

শনিবার দুপুরে আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি আধাপাকা টিনশেড ঘরে সামনের দিকের অংশে শফিউল থাকতেন। পেছনের অংশে পরিবার নিয়ে থাকেন আনোয়ার।

আনোয়ারের স্ত্রী তুহিন বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শফিউল তার ছোট একটি সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আমাদের বাসায় ভাড়া থাকত। তাকে ভাড়াটে হিসেবে চিনতাম।

“তিনি কী করতেন, আমরা তা জানতাম না। ভাড়া নেওয়ার পর তারা ঘর থেকে তেমন একটা বেরও হতেন না।”

শফিউল পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যাকাণ্ডেরও আসামি। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তরুণ দত্ত ও দেবেশ চন্দ্র হত্যায়ও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।