ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম।
পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেককে ঘরের ভিতর মাঁচায় থাকতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। রাতজেগে পাহারা দিতে হচ্ছে গবাদি পশু।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের ২৪ সেন্টিমিটার, ধরলার ২৪ সেন্টিমিটার, তিস্তার ১৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের ১৯ সেন্টমিটার পানি বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম বন্যা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি হিসাবে ৩১টি ইউনিয়নের ২৯০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৩৫২ কিলোমিটার এলাকা এখন বন্যার পানিতে ডুবে আছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজার ৯৩০টি পরিবার। বন্যার পানিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৬৪২টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩০ হাজার ৬৬৯টি পরিবার।
“এ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখের বেশি। যোগাযোগের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০৮ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাকা রাস্তা ১০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা ৯৮ কিলোমিটার। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৫টি।”
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ৯২ মেট্রিক টন চাল ববাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবার ক্রয়ের জন্য।
জেলা প্রশাসকস জানান, নদী ভাঙনে নিঃস্ব ৭৩টি পরিবারের বিপরীতে দুই লাখ ১৯ হাজার টাকা, এক হাজার ৮৭৫ জনের বিপরীতে জি আর ক্যাশ তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নয় হাজার ২০০ জনের বিপরীতে জি আর চাল দেওয়া হয়েছে, যাদের প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল পাবে।
“ঢাকায় জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়ে অতিরিক্ত ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।”