রোববার রাতে চাঁদপুর ঘাট পার হয়ে লঞ্চটি মিয়ার চরে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ির আক্তার হোসেনের স্ত্রী পরীবানু (৪০) ও তাদের মেয়ে জান্নাতি ওরফে নাজিয়া (৯)।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পরীবানুর আরেক মেয়ে নুসরাতকে (৭) বরগুনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
নুসরাতের বরাত দিয়ে বরগুনা থানার ওসি রিয়াজ হোসেন জানান, রোববার বিকাল ৫টায় পরীবানু, জান্নাতি ও নুসরাত ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি সম্রাটে উঠেছিল।
লঞ্চের মাস্টার আবুল হোসেনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রাত ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাট দিয়ে লঞ্চটি মিয়ার চরের কাছাকাছি আসলে পরীবানু ‘রহস্যজনকভাবে’ মেঘনা নদীতে পড়ে যান। এরপর জান্নাতি ওরফে নাজিয়াও নদীতে পড়ে যায়।
সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ওসি রিয়াজ আরও জানান, নুসরাত তার দাদার বাড়ি অথবা নানার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। বাবার বাড়ি বলতে যাত্রাবাড়িকেই চেনে। আর নানার বাড়ি মাওয়া ফেরিঘাট থেকে ২০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যেতে হয় বলে জানে।
নুসরাত পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাবার নাম আক্তার হোসেন। ঢাকার যাত্রাবাড়িতে তার বাবা একটি চশমার দোকানে কাজ করেন। তার বড় ভাই আল-আমিন ঢাকার ধলপুর লিচু বাগান মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। জান্নাতি ও নুসরাত ঢাকার সাউদুল কোরান মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।