শুক্রবার গভীর রাতে আড়ুয়াকান্দি গ্রামে নিহত ইবনুল ইসলাম পারভেজ (২৮) ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
তার পরিবারের দাবি, দুই সপ্তাহ আগে পারভেজকে ঢাকা থেকে পুলিশ আটক করেছিল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এছাড়া আগে ইসলামী ছাত্র শিবির করলেও বর্তমানে জড়িত ছিলেন না।
এ নিয়ে দুই দিনে এ জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হলো।
ঝিনাইদহ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, সদর থানা পুলিশ রাতে ঝিনাইদহ-মাগুড়া মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল।
“রাত ২টার দিকে পুলিশের টহল দলটি আড়ুয়াকান্দি কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।”
“ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি, পাঁচটি বোমা, দুইটি ছোরা ও তিনটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসির দাবি, নিহত পারভেজ শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি ঝিনাইদহ শহর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
পারভেজের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার ১৩টি মামলা আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পারভেজের ভাই আবু সাইদের অভিযোগ, গত ১৬ জুন রাতে পুলিশ ঢাকার আদাবরের বাসা থেকে তাকে আটক করে। এরপর তার খোঁজ মিলছিল না।
পারভেজ আগে শিবির করলেও বর্তমানে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছেন।