ঝিনাইদহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 03:44 AM
Updated : 1 July 2016, 06:35 AM

জেলার পুলিশ সুপার শেখ আলতাফ হোসেন বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। তিন পুলিশ সদস্যও সেখানে আহত হন।

নিহতদের মধ্যে একজন হলেন ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করা শহীদ আল মাহমুদ (২৫)। তিনি একই উপজেলার বদনপুর গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের ছেলে।

অপরজন আনিসুর রহমান (২৬) কুষ্টিয়া সদরের যোকিয়া ভাটপাড়া এলাকার সাত্তার হোসেনের ছেলে।

এদের মধ্যে প্রথমজনকে ১৩ জুন পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পুলিশ তা স্বীকার করেনি।

পুলিশ সুপার বলেন, রাত সোয়া ২টার দিকে নলডাঙ্গা-তেঁতুলবাড়িয়া সড়কে টহল দেওয়ার সময় ‘ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

“এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি করে। কিছু সময় গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।”

ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও ছয়টি হাতবোমা পাওয়ার কথাও পুলিশ সুপার বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নিহতরা ওই এলাকায় ‘কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা’ করছিল বলে সন্দেহের কথা বলেছেন পুলিশ সুপার। তাদের সন্ত্রাসী বলা হলেও কোনো মামলা তাদের নামে আছে কি না সে তথ্য তিনি দিতে পারেননি।

এদিকে নিহত শহীদ আল মাহমুদের বড় ভাই আব্দুর রহিম দাবি করেছেন, গত ১৩ জুন মধ্য্যরাতে পুলিশ পরিচয়ে একদল লোক বাড়ি থেকে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়।

তবে মাহমুদকে আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য নেই বলে দাবি করা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর থানার পক্ষ থেকে।  

এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ৬২ জন মারা গেছেন; এর মধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে।