রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মানিক সরকার (৩৭), অহিদুল হক, নজরুল ইসলাম, চান্দু মৃধা, আবুল হোসেন, শাহিন মিয়া, আবুল বাসার, বসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও সোবহান শিকদার।
মামলার নথি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ ঠাকুরগাঁও থেকে ২২০ বস্তা চাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল ট্রাকটি। রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বরাতি সেতুর কাছে একটি খালি ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ডাকাত দল। পরে তারা চালক পরেশচন্দ্র (৪০) ও সহযোগী সন্তোষ কুমারকে (২৮) খালি ট্রাকে তুলে দুটি ট্রাক নিয়ে দিনাজপুর রওনা দেন। পথে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় পুলিশ তাদের থামার সংকেত দেয়।
“সংকেত উপক্ষো করে পালানোর সময় একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায় খালি ট্রাকটি। এতে রিকশা চালক মনোরঞ্জর রায় (৪৫) ও ট্রাকচালক পরেশ চন্দ্র গুরুতর আহত হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়।”
পিপি মালেক বলেন, চালভর্তি ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মানিক সরকার, চান্দু মৃধা ও সোবহান শিকদারকে আটক করে। রাতেই ট্রাক চালকের সহকারী সন্তোষ বাদী হয়ে হত্যা এবং চালের মালিক হারাধন চন্দ্র বাদী হয়ে ডাকাতি মামলা করেন। দুই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল ইসলাম ২০০৭ সালের ৩ মে ১০ ডাকাতের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।