বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এস এম শরাফত জানান।
গ্রেপ্তার পাঁচজন ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা’ বলে জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে তাদের কাছ কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।”
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শরাফত।
গত ১৩ মে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে হামলা চালায় মুখোশ পরিহিত ৩০/৩৫ জন সশস্ত্র হামলাকারী।
ওই ঘটনায় আনাসার ব্যারাকের কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা ব্যারাকের অস্ত্রাগার থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আনসার ব্যারাকের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০/৩৫ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।
ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মধ্যে নুরুল আবছার নামে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেছিলেন, আনসার ব্যারাকে ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক নামের এক পাকিস্তানি। মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করতে ওই ক্যাম্পে হামলা করা হয়েছিল।