ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ নিবন্ধিত সিমসহ আটক ৩

ময়মনসিংহ শহরের এক বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নিবন্ধিত মোবাইল সিম, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ, আটক করা হয়েছে তিনজনকে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2016, 03:33 AM
Updated : 30 June 2016, 03:33 AM

বুধবার রাতে শহরের সানকিপাড়ায় নয়ন মণি মার্কেট এলাকার ওই বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান।

আটক তিনজন হলেন জহিরুল ইসলাম (২০), হুমায়ুন (২৫) ও রুহুল আমিন (২০)। তারা সবাই অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের ভাষ্য।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ১১টার দিকে সানকিপাড়া এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। জহিরুল ইসলাম ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন।

“সেখানে সহস্রাধিক মোবাইল ফোনের সিমকার্ড পাওয়া যায়, যেগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধিত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিওআইপি সরঞ্জাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বেসরকারি মোবাইল অপারেটর এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাকে সিম জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করার এক দিন পর ময়মনসিংহে এই চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ।

অনিবন্ধিত অর্থাৎ বেনামা সিম ব্যবহার করে অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যম বিদেশে টেলি যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়ে এ ধরনের চক্রগুলো সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে আসছে। 

অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত মোবাইল সিম চিহ্নিত ও বন্ধ না করলে অপারেটরকে জরিমানা গুণতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করে আসছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

এ ধরনের সিম ভিওআইপি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে।  

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি এখন আর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম পাওয়ার কথা নয়।

তারপরও সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি দোকানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ ছাড়াই সিম বিক্রির তথ্য পাওয়ায় অভিযান শুরু করে বিটিআরসি ও পুলিশ।

ঢাকার পুলিশ বলছে, এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে তারা মঙ্গলবার আটক করেছেন, যারা নিবন্ধন জালিয়াতিতে জাড়িত।

বিটিআরসির পরিচালক সুফি মো. মঈন উদ্দিন জানান, এই চক্রটি নিবন্ধনের সময় নানা অজুহাতে একাধিকবার গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার অজান্তেই অন্য সিমও তার নামে নিবন্ধন করে আসছিল। পরে সেই সিম তারা অপরাধীদের কাছে বিক্রি করত বেশি দামে।