ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবু তাহের মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
সনুর আইনজীবী সঞ্জীব দাশ জানান, সনু ভারতের রাজধানী দিল্লির নিউ সীমাপুর যুগি এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ ও মাধুরী মমতাজের ছেলে। ২০১০ সালের ২৩ মে হারিয়ে যায়।
রহিমা বেগম ও আকলিমা বেগম নামের দুই বোন সনুকে দিল্লি থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার গেরামর্দন গ্রামে নিয়ে আসেন।
সেখানে নির্যাতনের কারণে সনু এক পর্যায়ে জামালউদ্দিন নামে ওই এলাকার একজনের কাছে আশ্রয় নেয়।
ওই ব্যক্তিই যশোরের মানবপাচারবিরোধী সংগঠন রাইটস এবং ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনে যোগাযোগ করেন। নয়া দিল্লি গিয়ে সনুর বাবা-মারও খোঁজ বের করেন তিনি।
এর মাঝে গত বছর ২২ ডিসেম্বর বরগুনার একটি আদালতের আদেশে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ঠাঁই হয় সনুর।
রাইটসের পক্ষ থেকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে যোগাযোগের পর তিনি পদক্ষেপ নিলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
পরে ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তারা যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে সনুর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর হয় তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ।