হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা: অভিযোগপত্র গ্রহণ

হবিগঞ্জের বাহুবলে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 09:01 AM
Updated : 28 June 2016, 09:15 AM

একইসঙ্গে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানো এবং পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরন শংকর হালদার এ আদেশ দেন।

আগামী ২৬ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রের আট আসামি হলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, আব্দুল আলীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া, শাহেদ, উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল।

এদের মধ্যে  আব্দুল আলী, রুবেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া গ্রেপ্তার আছেন। পলাতক আছেন উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল।

হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আবুল হাসেম মোল্লা বলেন, আদালত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

তিনি জানান, দুপুরে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র। পাঁচ দিন পর বাড়ির কাছ থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পরপরই প্রধান আসামি আব্দুল আলীসহ পুলিশ সাত জনকে আটক করে। এরপর আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্দে নিহত হন।

আব্দুল আলীর দুই ছেলেসহ চার জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৫ এপ্রিল হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মুক্তাদির হোসেন নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২৫ এপ্রিল শুনানি শেষে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেনি। পরবর্তী তারিখে মূল নথিসহ অভিযোগপত্র আবার দাখিল করতে বলে আদালত।