ঈদে বিপুল ভারতীয় কাপড় বেনাপোলের বাজারে

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিপুল ভারতীয় পোশাক উঠেছে বেনাপোলের বিভিন্ন বিপণি বিতানগুলোতে।

আসাদুজ্জামানে আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 07:28 AM
Updated : 28 June 2016, 07:29 AM

সীমান্ত পার হয়ে চোরাই পথে আসা নানা ধরনের কাপড় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করলেও তাদের চোখ এড়িয়ে ঢুকে পড়া কাপড়ের পরিমাণ অনেক বেশি।  

যশোরের বেনাপোল, শার্শা, বাগআচড়া ও নাভারনের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে নানা ধরনের ভারতীয় পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে।

এদিকে স্বল্প বৃষ্টি কিংবা বৃষ্টিহীন আষাঢ়ের তীব্র গরমেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। ভিড় ও চড়া দাম এড়াতে কেউ কেউ আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান। তবে এবার বাজার কিছুটা চড়া বলছেন ক্রেতারা।

সরেজমিনে নাভারন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে তিন ছেলেমেয়কে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা শিল্পী। নাভারন নিউমার্কেটের দোকানগুলো ঘুরেফিরে দেখছেন।

রেবেকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে ঈদ পণ্যগুলো দোকানে তোলা হয়েছে। তবে সব ধরনের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।”

বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেটের ‘আর ফ্যাশন কর্নারের’ মালিক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ঈদ বাজার এরইমধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভিড় এড়াতে মার্কেটে আসা মানুষের এই দেখাদেখি বেশিদিন চলবে না। চাকরিজীবীদের হাতে বেতন-বোনাসের টাকা আসলেই কেনাকাটার ধুম পড়বে।

নূর শপিং কমপ্লেক্সের ‘রানু শাড়ি বিতানের’ অধিকাংশ পোশাকই ভারতের।

ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় পোশাকের মজুদ বাড়িয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমির হোসেন।

বিজিবির বেনাপোল সদর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত সাত মাসে (অক্টোবর-১৫ থেকে মে-১৬) চোরাই পথে আসা ১৮ হাজার ৮৯২টি শাড়ি, ১২ হাজার ৮৪৩টি থ্রি পিস, ৪০ হাজার ৯৪৯টি তৈরি পোশাক, পাঁচ হাজার ৭৫৮ মিটার থান কাপড়, ৩৫০টি নাইট ডেস, ৩৫টি লেহেঙ্গা ও ৪৮টি পাঞ্জাবি আটক করা হয়েছে।

তবে বিজিবির হাতে পণ্যের কিছু চালান আটক হলেও তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলে দাবি করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান।

তিনি বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্রের যেসব চালান আগে বৈধভাবে আমদানি হয়ে আসত সেসবের অনেকগুলো এখন চোরাপথে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শাড়ি, থ্রি পিস, থান কাপড়ের চোরাচালান বেড়ে গেছে।

প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার এসব পণ্য চোরাচালান হয়ে বাংলাদেশে আসছে বলে দাবি তার।