সীমান্ত পার হয়ে চোরাই পথে আসা নানা ধরনের কাপড় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করলেও তাদের চোখ এড়িয়ে ঢুকে পড়া কাপড়ের পরিমাণ অনেক বেশি।
যশোরের বেনাপোল, শার্শা, বাগআচড়া ও নাভারনের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে নানা ধরনের ভারতীয় পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে।
এদিকে স্বল্প বৃষ্টি কিংবা বৃষ্টিহীন আষাঢ়ের তীব্র গরমেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। ভিড় ও চড়া দাম এড়াতে কেউ কেউ আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান। তবে এবার বাজার কিছুটা চড়া বলছেন ক্রেতারা।
রেবেকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে ঈদ পণ্যগুলো দোকানে তোলা হয়েছে। তবে সব ধরনের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।”
নূর শপিং কমপ্লেক্সের ‘রানু শাড়ি বিতানের’ অধিকাংশ পোশাকই ভারতের।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় পোশাকের মজুদ বাড়িয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমির হোসেন।
তবে বিজিবির হাতে পণ্যের কিছু চালান আটক হলেও তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলে দাবি করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান।
তিনি বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্রের যেসব চালান আগে বৈধভাবে আমদানি হয়ে আসত সেসবের অনেকগুলো এখন চোরাপথে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শাড়ি, থ্রি পিস, থান কাপড়ের চোরাচালান বেড়ে গেছে।
প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার এসব পণ্য চোরাচালান হয়ে বাংলাদেশে আসছে বলে দাবি তার।