সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাভার ও টঙ্গীতে তাদের আটকে অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ।
আটককৃতরা হলেন কামরুজজামান কামু, মো. মোবারক হোসেন (৩২), সাগর (২০), নাজমুল ইসলাম (১৮) ও মোহাম্মদ আলী (২৫)।
তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা তুহিন বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে সাভারের ডেণ্ডাবর পলাশবাড়ি এলাকার একটি মেস থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কামরুজ্জামান কামুকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মেসের আশপাশ থেকে মোবারক, সাগর, নাজমুল ও আলীকে আটক করা হয়।
“আটক সবাই হতাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল।”
এছাড়া একই রাতে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক টঙ্গীর এরশাদ নগর থেকে তিনটি ‘সামুরাই’ ও একটি ‘চাপাতি’ উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
টঙ্গী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এর আগে এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
“কামরুজ্জামান কামুর নামের হত্যা-চাঁদাবাজিসহ ২৬টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তার ৩৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে।”
গত ১৪ মে রাতে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় শরীফুল ইসলাম ও জুম্মন মিয়া নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিনে সকালে সাত্তারনগর এলাকার একটি ডোবা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাদের একজনকে গভীর রাতে ‘বাড়ি থেকে ডেকে’ নিয়ে এবং তা ‘দেখে ফেলায়’ অন্যজনকে হত্যা করা হয় বলে পরিবার অভিযোগ করেছিল।
এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় মামলা করেন নিহত শরিফুলের মা ইয়ানূর বেগম।