রোববার রাতে ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতালে শিল্পী বেগমের মৃত্যু হয় বলে শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান।
শিল্পী শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধি গ্রামের মোশারফ খানের স্ত্রী। একই উপজেলার দামলা গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে তিনি।
শিল্পীর বোন সীমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০৬ সালে শ্যামসিদ্ধি গ্রামের বাছের খানের ছেলে মোশারফের সঙ্গে শিল্পীর বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
চার বছর অগে মোশারফ দুবাই চলে যাওয়ার পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শিল্পীকে মারধর করত এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিল্পী প্রায়ই বাবার বাড়ি চলে আসত বলে অভিযোগ সীমার।
তিনি বলেন, গত ২১ জুন দুপুরে শিল্পীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া বাধে। এ সময় শিল্পীর শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, শ্বশুর বাছের খান, দেবর আওলাদ হোসেন, রমজান, ননদ সোনিয়া আক্তার, ও জা সাহানা বেগম মিলে শিল্পীকে মারধর করে।
এ পর্যায়ে শিল্পী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান সীমা।
রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শিল্পীকে দামলা কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় সীমা বাদী হয়ে রোববার রাতে শিল্পীর শ্বশুরবাড়ির ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে শিল্পীর দেবর আওলাদ হোসেন (৪০) ও ননদ সোনিয়া আক্তারকে (২৬) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।