সোমবার জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে র্যাব-১১ এর তৎকালীন দুই সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।
পরে আদালত আগামী ১১ জুলাই মামলার পরবর্তী দিন রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সকালে কড়া নিরাপত্তায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও রবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি বলেন, র্যাব-১১ তে ঘটনার সময় কর্মরত দুই সদস্য ল্যান্স নায়েক নাজিমউদ্দিন ও সৈনিক মিলন হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে সকালে।
পিপি বলেন, খুনের ঘটনায় কারা কারা ছিলেন, কার কী ভূমিকা ছিল তার বিবরণ দিয়েছেন সাক্ষীরা। তৎকালীন মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম এম রানার নির্দেশে তারা সাদা পোশাকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ ও পরে হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে লাশ গুম করার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
ওয়াজেদ আলী জানান, এ নিয়ে সাত খুনের দুই মামলায় মোট ১২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাত জনকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন আরেকজনের লাশ একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও চার সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন।
এ মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।