দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করেছে।
সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সরাইল থানার এসআই আবদুল আলিম জানান।
নিহতরা হলেন- জেলা ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলাম (৪৫), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম (৪০) ও সদস্য শাহজাহান মিয়া (৫০)। তিনজনই জেলা সদরের ঘাটুরা এলাকার বাসিন্দা।
হাইওয়ে পুলিশের সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন কুমার চাকমা জানান, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ এখানে চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, নিহতরা তিনজনই হেলমেটবিহীন অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলে করে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ থামার নির্দেশ দিলেও তারা না থেমে সামনের দিকে এগুতে থাকেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া বেলা ১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণাবড়িয়া সদরের ঘাটুরা এলাকায়ও অবরোধ করে স্থানীয়রা।
ওই সময় তারা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।
এএসপি শৈলেন চাকমা জানান, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে দুই জায়গা থেকেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোহসিন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ‘চাঁদাবাজি’ করার উদ্দেশ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা এলাকায় একটি পাথরবোঝাই ট্রাককে থামার সংকেতে দেয়।
“ট্রাকটি না থামলে এক পুলিশ সদস্য তার হাতের লাঠি ছুড়ে মারলে লাঠিটি ট্রাকের সামনে থাকা মোটরসাইকেলের চাকায় আটকে যায়। ওই সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পেছনের ট্রাকটি চাপা দেয়।”
পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে এএসপি শৈলেন চাকমা বলেন, “চাদাবাজির ঘটনা ঠিক নয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হবে।”