ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আমির উদ্দিন রোববার এই রায় দেন।
দণ্ডিত গোলাম মোস্তাফা ঝিনাইদহের কোটচাদঁপুর উপজেলার চৌখাদা গ্রামের আবু জাফরের ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গোলাম মোস্তফা ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন এবং থাকতেন আকুয়া এলাকার একটি মেসে। তার বোন আকুয়া গরু খোয়াড় এলাকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হক ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রায়হাতুননেছা দম্পতির বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বোনের বাসায় যাওয়া-আসার সূত্রে আব্দুল হক দম্পতির সঙ্গে মোস্তফার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই ছেলে ঢাকায় থাকায় তারা মোস্তফাকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন।
একদিন মোস্তফা ৪০ হাজার টাকা ধার চাইলে আব্দুল হক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে মোস্তফা তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই রাতে ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া গরু খোয়াড় এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল হকের বাসায় ঢুকে স্ত্রীসহ তাকে গলা কেটে হত্যা করে মোস্তফা।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক নেওয়াজেস আলী মিয়া জানান, নিহত দম্পতির ছেলে হাসিবুল হক বাদী হয়ে গোলাম মোস্তফাকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিবিরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।