শনিবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাছিনা আক্তারের (২৮) মৃত্যু হয়। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছের স্ত্রী।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুলতান আহমদ সিরাজী বলেন, হাসিনার শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
“অজ্ঞাত বিষ প্রয়োগ ও আঘাতে (আননোন পয়জনিং অ্যান্ড ইনজুরি) তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের কাগজে লেখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে জাদিমুরা এলাকার মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রী মরিয়মকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
“ওইদিনই স্থানীয়রা ইলিয়াছের ছোট ভাই ইউনুছের স্ত্রী হাছিনাকে ধরে পুলিশে দেওয়ার পর অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
মারধর ও বিষ প্রয়োগের বিষয়ে পুলিশ কিছু জানে না দাবি করে ওসি বলেন, আটক করার সময় জনতা তাকে পিটুনি কিংবা বিষ দিলেও দিতে পারে।
রোববার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাছিনার মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানান তিনি।
মরিয়মকে খুনের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, ইউনুছের সঙ্গে তার বড় ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রী মরিয়মের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ ডেকেছিলেন ইউনুছের স্ত্রী হাছিনা।
“এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। সর্বশেষ বুধবার সালিশে হাছিনাকে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাছিনা মরিয়মকে খুন করতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছে।”