আবার বিপদসীমার উপরে তিস্তা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে আবারও বিপদসীমা ছাড়িয়েছে তিস্তা নদীর পানি।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2016, 03:28 PM
Updated : 25 June 2016, 04:22 PM

শনিবার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে বিপদসীমা অতিক্রম করে এবং ৯টায় তা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হতে থাকে।

“বেলা ৩টার দিকে পানি কিছুটা কমে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”

এর আগে উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে গত ২২ জুন তিস্তা বিদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩৬ সেন্টিমিটার পানি কমে তিস্তা বিপদসীমার নিচে চলে আসে।

পানি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান এ নির্বাহী প্রকোশলী।

এদিকে দুই দিনের ব্যবধানে নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় বিপদসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ১১টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ও ফরেস্টের চরের ৭০০ পরিবারের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করেছে।এসব এলাকার আমন ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, ঝাড়সিংশ্বের ও ছাতনাই গ্রামের সহস্রাধিক বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

“এর আগে গত ২২ জুন তিস্তার পানিতে চরখড়িবাড়ি গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালুর বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার ধসে যায়। এতে ওই গ্রামের ২৫টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।”

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ২৫০০ পরিবারের মাঝে ২৫ মেট্রিক টন চাল ও ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এর আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।