কুড়িগ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন

প্রবল স্রোতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাংটুরঘাট এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2016, 01:50 PM
Updated : 25 June 2016, 01:50 PM

শনিবার সকালে ধরলা তীরের এ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ আকস্মিক ধসে যায়।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজার রহমান জানান, জরুরি ভিত্তিতে গাছপালা ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংটুরঘাট ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী আজিমুদ্দিন জানান, সকাল ৯টার দিকে স্রোতের তোড়ে  বাঁধটি ধসে যেতে শুরু করলে এলাকার লোকজনকে নিয়ে দোকান সরিয়ে নিয়েছেন।

কাঠাঁলবাড়ী ইউনিয়নের সদস্য খায়রুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এই বাঁধ ভেঙে গেলে সংলগ্ন ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়বে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়ক।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, উলিপুরের সাহেবের আলগা, হাতিয়া, চিলমারীর রানীগঞ্জ, অষ্টমীর চর, নয়ারহাটসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চরগ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এদিকে জান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে প্রধান-নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়ে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এ সময়ে তিস্তায় ২২ সেন্টিমিটার, দুধকুমারে ৩৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রে ২২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে চরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়বে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্রের শতাধিক চরে পানি ঢুকতে শুরু করায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

উলিপুরের মশালের চরের আবুল কালাম বলেন, বাড়িভিটা ছাড়া সব ডুবে গেছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় নেই।

স্থানীয় দিনমজুর ময়েন উদ্দিন ও আলম জানান, কয়েকদিন ধরে কাজ না পাওয়ায় অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন তারা।

জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।