শুক্রবারের এ ভাঙনে প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪ নম্বর পোল্ডারের কাছে খোলপেটুয়া নদের প্রায় দুইশ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া, শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়াড়া ও ঘোলা গ্রাম প্লাবিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাশ, জহুরুল ইসলাম ও ছাইফুল্লাহসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ দুপুরের জোয়ারে বাঁধটি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আড়াইমাস আগে একই স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বাঁধ সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়।
“এতে প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং অন্তত দেড়হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আবুল হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান।
শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে এখানে বার বার বেড়ি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আবুল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কমপক্ষে দেড়শ শ্রমিক ভাঙন এলাকায় কাজ করছে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে তিনি আশা করা যাচ্ছে।