সোমবার দুপুরে গুদামে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়া এ শ্রমিকদের পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে টেবুনিয়া বিএডিসির (বীজ) যুগ্ম পরিচালক আব্দুল হালিম জানান।
বিএডিসি কর্মকর্তাদের অবহেলা ও গাফিলতির জন্য এ ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
আব্দুল হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে গুদামে প্রায় ৮০ জন শ্রমিক বীজ প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছিল। এ সময় পোকা দমনে ব্যবহৃত কীটনাশক ফসটক্সিনের বিষক্রিয়ায় একে একে শ্রমিকরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
“পরে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।”
নাম প্রকাশ না করে একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেন, কীটনাশক প্রয়োগের পর নির্ধারিত সময় পার হলে সেখানে ঢুকতে হয়। কিন্তু শ্রমিকদের ওই সময়ের আগেই গুদামে ঢুকতে বাধ্য করা হয়। এ কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
তারা এই ঘটনার জন্য বিএডিসি কর্মকর্তাদের দায়ী করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ জানান, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষতিকর বিষ ফুসফুসে প্রবেশ করায় শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
“এই বিষাক্ত কীটনাশক দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর ওই গুদামে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু তারা কেন কীটনাশক দেওয়ার সময় গুদামে কাজ করছিলেন তা আমার বোধগম্য নয়।”
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শ্রমিকদের কথা বলা দেখে ওই শ্রমিকদের উপর চড়াও হন কয়েকজন বিএডিসি কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে বিএডিসি কার্যালয়ে বীজ সরবরাহকারী ঠিকাদাররা সাংবাদিকদের জোর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।
তবে বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক আব্দুল হালিম কর্মকর্তাদের অবহেলা ও গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা একটি দুর্ঘটনা মাত্র।