রোববার রাতে উপজেলার ফৈলজানা গ্রামে এ হামলা হয় বলে চাটমোহর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান।
আহত সার ব্যবসায়ী রনজিত রোজারিওকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ফৈলজানা গ্রামের মৃত জজ রোজারিওর ছেলে।
রনজিত রোজারিওর স্ত্রী পল্লবী রোজারিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফৈলজানা গ্রামের প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে নেংড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। প্রায় দুই মাস আগে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে রনজিতসহ স্থানীয় কয়েকজন। বিষয়টি নিয়ে সালিশও হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় বাদশা মিয়ার সঙ্গে রনজিতের বিরোধ হয়।
“ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাদশা তার লোকজন নিয়ে রোববার রাতে বাড়ি এসে রনজিতের উপর হামলা চালায়।”
পল্লবী রোজারিও বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে রনজিতকে লক্ষ্য করে একটি গুলি করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা ধারালো চাপাতি দিয়ে রনজিতকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ওই সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্বজনরা রনজিতকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান পল্লবী।
আহত রনজিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অপকর্মের কথা প্রকাশ করে দেওয়ায় বাদশা তার লোকজন নিয়ে আমাকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। আমি বাড়ির পাশে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে চিৎকার দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।”
ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ধীর্ঘদিন দরে খ্রিস্টান পল্লীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে আসছিল। মেয়েদেরও নির্যাতন করে তারা।
“এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় রনজিত রোজারিওকে তারা হত্যার চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় তারা পালিয়ে যায়।”
চাটমোহর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে রনজিতকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জেনেছি। আমরা ঘটনার কারণসহ অন্যান্য বিষয় তদন্ত করে দেখছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”