তবে পুলিশ বলছে, থানার শৌচাগারে ওই আসামি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার ভোররাতে আবুল হাসেম (৩৫) নামের ওই আসামির মৃত্যু হয় বলে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক জানান।
হাসেম সরিষাবাড়ি পৌরসভার দরিয়াপাড়া গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে।
শরীফুল হক জানান, গত ১৪ এপ্রিল হাসেমের স্ত্রী রহিমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওই মামলার আসামি হাসেম এতদিন পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে ঢাকার গুলশান থেকে হাসেমকে আটক করে সরিষাবাড়ি থানায় আনা হয়।
“ভোররাতে হাসেম নিজের প্যান্ট খুলে শৌচাগারে রডের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মমতাজ উদ্দীন রাকিব বলেন, “থানা থেকে রাত ৪টায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবুল হাসেমকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত সাড়ে ৪টায় তিনি মারা যান। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আবুল হাশেমের মা হাসু বেওয়া, খালাত ভাই সুজন মিয়া ও খালা রওশন আরার অভিযোগ, হাসেমকে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তারা এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে, হাসেমের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সরিষবাড়ী-তারাকান্দি সড়কের আমতলা এলাকায় দুপুরে এক ঘণ্টা অবরোধ করে। ওই সময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। ঘণ্টাখানেক পর তারা অবরোধ তুলে নিয়ে চলে যায়।