পঞ্চগড়ে রাতে ফল ঘোষণার পর হামলায় নিহত ১

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক ইউনিয়নে ফল ঘোষণার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2016, 07:38 PM
Updated : 28 May 2016, 07:47 PM

নিহত নাসির উদ্দীন (৫৫) সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের কড়েয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

শনিবার রাত ৯টার দিকে গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের জোতদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ওই সংঘর্ষে নিহত নাসিরের স্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহত নারী নূরজাহান বেগমসহ (৪৮) নয়জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী তরিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহত নাসির বিজয়ী প্রার্থী তরিকুলের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাসিরের ভাগ্নে ও প্রতিবেশী মো. রবিউল ইসলাম জানান, রাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারের কর্মী সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থী তরিকুলের সমর্থকদের ওপর লাঠিসোটা ও ইটপাথর নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় নির্বাচনী দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যায় কম হওয়ায় তারাসহ লোকজন ছুটোছুটি করে আত্মরক্ষা করে।

কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা ভোটকেন্ত্রের স্কুল মাঠে নাসিরকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে তার বাড়িতে ও পরে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম রাজিউল করিম রাজু জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কোনো কারণ জানা যায়নি।

শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্নও পাওয়া না যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে নাসিরের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রবিউল ইসলামের দাবি, নাসিরের গলার বাম পাশে ফুলে আছে, যাতে মনে হয় কেউ গলা চেপে ধরেছিল।

মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনকারি এসআই রঞ্জু আহমেদ জানান, মৃতদেহের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। এজন্য চিকিৎসকের প্রতিবেদন  অনুযায়ী একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।