এদের মধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালানোর সময় দেওয়ালে আঘাত লেগে এক ব্যক্তি ও দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি সাজিদুর রহমান সাজেদ জানান, দুপুরে রাজগঞ্জ ইউনিয়নের দারুল উমল ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রের সামনে র্যাবের ধাওয়া খেয়ে সবার সঙ্গে পালানোর সময় দেয়ালে মাথায় আঘাত পান সৈয়দ আহম্মদ নামে (৬০) এক ব্যক্তি।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, “বিকালে বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের বাংলা বাজার কেবি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।এতে শাকিল নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”
শাকিল জিলতলী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মো. মিলনের ছেলে।
এছাড়া সেনবাগ ও বেগমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে শাহজালাল ও জাফর মিয়াসহ গুলিবিদ্ধ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলে এসপি শরীফ জানিয়েছেন।।
তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, গোলযোগ ও অনিয়মের কারণে বেগমঞ্জের ৫৫টি ও সেনবাগে ২৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
তবে সারাদেশের ৭১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৫৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এদিকে, বেগমগঞ্জের একলাশপুর বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে চৌমহনী মাইজদী সড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালীর এসপি মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, যান চলাচল বন্ধের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জলিল চৌধুরী অভিযোগ করেন, সকাল থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদেরকে আসতে বাধা দেয়। ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরা সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবেদ সাইফুল কালাম তার বিরুদ্ধে ব্যালট ছিনতাই ও আগে বাক্সভরতি করার অভিযোগ অস্বীকার করে করেছেন।