চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ‘মানবতা ফাউন্ডেশনের’ নির্বাহী পরিচালক খন্দকার অহিদুল আলম।
বিচারক শিরিন কবিতা আখতার চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ মে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার এক কলেজছাত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে দেখতে যান। ওই সময় তার প্রেমিকও ছিলেন।
হাসপাতালে রোগী দেখে প্রেমিকের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মো. আসিফসহ চার যুবক তাদেরকে ডেকে পাশের ‘ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল’ নামে হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে যায়।
সেখানে প্রেমিকের গলায় ছুরি ধরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে মো. আসিফ।
মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার অহিদুল আলম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানা বলেন, ঘটনাটি ব্যাপকভাবে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পরার পর হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের লোকজনদের নিরাপত্তার বিধানের অনুরোধ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।