স্তন অপসারণ মামলায় ‘বাদীর উপর চাপ’

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার এক গৃহবধূর স্তন অপসারণ মামলায় গ্রেপ্তার চিকিৎসকের মুক্তির দাবিতে জেলার সব বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2016, 11:44 AM
Updated : 27 May 2016, 11:44 AM

এদিকে মামলা আপস করার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনেছেন এর বাদী, যিনি ওই গৃহবধূর স্বামী।

শুক্রবার শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাদী অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর অঙ্গহানির মামলায় চিকিৎসক শরীফকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বিবাদীপক্ষ তাদের ডেকে নিয়ে আপস করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও বিএমএ নেতাদের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ আনেন মামলার বাদী, ভুক্তভোগী সেই নারী ও তার ভাই।

তবে হুইপ আতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদী ও বিবাদী পক্ষ আমার কাছে মীমাংসার জন্য এসেছিল। আমি তাদের ডেকে আনিনি।”

বাদীপক্ষকে চাপ দেওয়ার ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

জেলা বিএমএর সভাপতি এমএ বারেক তোতা দাবি করেন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় শরীফকে আটক করা হয়েছে।

“শরীফ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সারা জেলায় চিকিৎসকরা সব ধরনের প্রাইভেট চিকিৎসা শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

সভাপতি আরও বলেন, দাবি দ্রুত পূরণ না হলে সরকারি পর্যায়েও সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ করার বিষয়ে তারা  চিন্তাভাবনা করছেন।

বাদীকে ডেকে এনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, হুইপ আতিক সাহেবের কার্যালয়ে বাদীপক্ষকে নিয়ে বসার পর আপসের কথাবার্তা হলেও পরে বাদীপক্ষ অস্বীকার করেছে।

গত ২০ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক শরীফকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত বছর ৬ নভেম্বর শ্রীবরদী পৌরশহরের শান ক্লিনিকে চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম শরীফকে স্তনের ফোঁড়া দেখাতে যান উপজেলার এক নারী।

‘ক্যান্সার হয়েছে’ জানিয়ে ঢাকার শাহবাগের মডিউল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ১৫ নভেম্বর তার বাম স্তন অপসারণ করেন এই চিকিৎসক।

পরে বায়োপসি পরীক্ষায় স্তনে ক্যান্সার নেই বলে ধরা পড়লে এই নারীর স্বামী দুইজনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেন।