সদর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মহিপুর কলেজের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার পরপরই স্থানীয় জনতা আব্দুল মালেক নামে ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত কনিকা রানি (১৪) সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে। মহিপুর এসএম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
আহত বাকি তিনজন কনিকার সহপাঠী। এদের মধ্যে তারিন আফরোজ (১৫) ও তানজিমা আক্তারকে (১৪) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মরিয়ম আক্তারকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “মহিপুরে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল ওই চার ছাত্রী। পথে বখাটে মালেক তাদের ওপর হামলা করে এবং হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।”
এলাকার লোকজন আহত ছাত্রীদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি বলেন, আব্দুল মালেক বালুগাঁ দিয়াড় গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।
“সে নেশাগ্রস্ত বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছে। তবে হামলার মূল কারণ এখনও জানা যায়নি।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শুকতারা বেগম নামের এক স্থানীয় নারী জানান, সকালে বাজার করে ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তিনি দেখতে পান, এক যুবক হাঁসুয়া দিয়ে কয়েকজন মেয়েকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে।
ওই চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল গোবরাতলা মহিলা কলেজের রসায়নের প্রভাষক খাইরুল ইসলামের কাছে। তিনিও হামলার সম্ভাব্য কোনো কারণের কথা জানাতে পারেননি।
খাইরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ৭টা থেকে ওই চার ছাত্রীকে পড়িয়েছেন তিনি। ৯টার দিকে পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় তারা আক্রান্ত হয়।