বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শেখ মোহাম্মদ বদিউল আলম অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ৩১ মে অভিযোগ গঠনের দিন রেখে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েছেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক আরিফ ইকবাল।
একইসঙ্গে আট আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৬ মে দুপুরে পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ড এলাকায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খানের একটি অনুষ্ঠান স্থলের পাশে মারধরের শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচএম রকিব হায়দার।
ওইদিন বিকালে ইউএনওর গাড়ি চালক আবুল কাশেম বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে পরশুরাম থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় এজহারনামীয় সাতজনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৬ মে পরশুরাম থানার ওসি আবুল কাশেম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খারুল বাশার মজুমদার তপন, চিথলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বুইজ্জা, পরশুরাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন পারভেজ, ফারুক আহমদ (জসিম উদ্দিন বুইজ্জার ভাই), যুবলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন, আবু তৈয়ব মাসুদ ও নুর আহম্মদ রাশু।
আদালত পরিদর্শক আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইউএনওর হায়দারের উপর হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি খারুল বাশার মজুমদার তপনসহ আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আইনজীবীরা তাদের জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠান।