বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যার এই হরতাল ডাকে পার্বত্য বাঙালি নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শহর ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টায় জেলা শহরের শাপলা চত্বর ও টেঙ্গি স্কয়ার মোড় এলাকায় দু-একটা রিকশা-মোটরসাইকেল চলার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পরিষদের লোকজন।
এদিকে শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে।
এএসপি রইস উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হরতালকারীদের শহরের বনরূপাসহ কয়েকটি স্থানে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুল রশিদ বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ মে ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর চারটি বিগ্রেড রেখে বাকি সেনাক্যাম্প পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পর আন্দোলনে নামে পার্বত্য বাঙালি পরিষদ। একই দাবিতে গত ৯ মে খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা।
পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া বুধবার এক বিবৃতিতে দাবি করেন, পাহাড়ে অপহরণ, মুক্তিপণ, গুম, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও টোকেন বাণিজ্য যতদিন বন্ধ না হয় ততদিন এ অঞ্চলে সেনাবাহিনী প্রয়োজন।
পরিষদ তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল আহ্বান করলেও বান্দরবানে হরতাল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বান্দরবান প্রতিনিধি।