ছাগলনাইয়ায় বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে বেশ কিছু ব্যালট পেপার বাতিল করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 06:16 AM
Updated : 25 May 2016, 07:01 AM

ভোট জালিয়াতি ও এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী। 

অপর আট পৌরসভার মত ফেনীর ছাগলনাইয়ার দশ কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রার্থী মো. আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মোস্তফা নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী আন্দোলনের রহমত উল্লাহ হাত পাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

আলমগীরের অভিযোগ, দশটি কেন্দ্রের কোনোটিতেই বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি ও তার সমর্থকেরা কেউ ভোট দিতে পারেননি

“নৌকার প্রার্থীর লোকেরা আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। আমি এই পৌরসভায় পুনর্নিবাচনের দাবি  জানাচ্ছি।”

ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, “অনিয়মের কারণে সিল মারা ৭০টি ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়নি।”

ওই কেন্দ্রের বাইরে কলেজ রোডের চায়ের দোকানের সামনে হাতবোমা ফাটানোরও খবর পাওয়া গেছে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ইউসুফ মজুমদার এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল আলম মজুমদার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সমর চৌধুরীসহ বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোবাইল ফোনে অনেকে অভিযোগ করছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছাগলনাইয়া থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি।

এক সময় ফেনী-১ (পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনের সাংসদ ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে ওই আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার ।