মঙ্গলবার সকালে টিঅ্যান্ডটি বাজার এলাকায় কুতুব উদ্দিনকে (৩২) কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তার মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার।
নিহত কুতুবের চাচা আব্দুল গফুর ও স্ত্রী নাসিমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুতুবকে টঙ্গীর আমতলী এলাকার বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
গফুর বলেন, “সকাল ৬টার দিকে খবর পাই স্থানীয় টিঅ্যান্ডটি বাজার এলাকায় কুপিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে গেছে।”
তিনি জানান, কুতুবকে প্রথমে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, কুতুবের দুই হাতের আঙ্গুল ও দুই পায়ের রগ কেটে বিচ্ছিন্ন করাসহ দুই পায়ের জয়েন্টে কোপানো হয়।
“এছাড়া মাথার পিছনে, পিঠে ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।”
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, নিহত কুতুব পুলিশের সোর্স ছিলেন। পুলিশের সাবেক দুই সোর্স এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে কুতুবের পরিবার সন্দেহ করছে।
“তাদের মধ্যে কোনো কিছুর ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে হত্যাকাণ্ড হয়েছে কি না, পুলিশ তা তদন্ত করছে।”
কুতুব ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাঘাদুয়ার এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। আমতলী এলাকায় আব্দুল মজিদ মিয়ার বাসায় তারা সপরিবার ভাড়া থাকতেন। সেখানে তাদের একটি জুতার দোকান রয়েছে।