নিহত ভিক্ষুর বড় ছেলে চিংসাউ চাক শনিবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি আবুল খায়ের জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ছামং চাক (৩২), জিয়া (২৫) ও রহিম (২৬)।
ওসি আবুল খায়ের জানান, শনিবার গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার রাতে মন্দিরে ধ্যানরত অবস্থায় গলাকেটে হত্যা করা হয় চাকপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ মং শৈ উ (৭০) কে। শনিবার সকালে তার রক্তাক্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে জানায়।
ওসি বলেন, উপজেলার কিতার পাড়া থেকে রহিম ও জিয়াকে এবং চাক পাড়া থেকে ছামং চাককে আটক করা হয়। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিম ও জিয়া বলেছে, তারা রোহিঙ্গা। ছামং চাকের বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়িতে বলে জানিয়েছে সে।”
তবে ছামং চাকও মিয়ানমারের নাগরিক বলে চাক পাড়ার কারবারি (গ্রাম প্রধান) অংঞো থোয়াই চাক ও স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
রোববার সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে বিহার অধ্যক্ষের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শনিবার বলেছেন, এর সঙ্গে সাম্প্রতিক ‘জঙ্গি’ হামলার মিল দেখছেন না তিনি।