র্যাব বলছে, নিহত মো. আলম খান (৪৫) সুন্দরবনের বনদস্যু আলম বাহিনীর প্রধান।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলছেন, শুক্রবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী খালে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের কথাও বলেছেন তিনি।
র্যাব-৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, সম্প্রতি চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী, আন্ধারমানিক ও শেলা নদী এলাকায় জেলে অপহরণ ও ডাকাতির কয়েকটি ঘটনায় আলম বাহিনীর সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়ে শুক্রবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলছেন, র্যাব সদস্যরা খালের পাড়ে পলিথিনের ছাউনি দেওয়া একটি আস্তানার সন্ধান পান। ভোর সোয়া ৬টার দিকে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পয়ে ‘দস্যুরা গুলি ছোড়ে’।
“র্যাব পাল্টা জবাব দিলে আধা ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ চলে। এক পার্যায়ে দস্যুরা বনের ভেতরে সরে গেলে ওই এলাকা তল্লাশি করে মৃগমারী খালের মুখে বনের ভেতরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
পরে স্থানীয় জেলেরা নিহত ব্যক্তিকে আলম বাহিনী প্রধান আলম খান হিসেবে শনাক্ত করেন বলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলমের ভাষ্য।
ঘটনাস্থল থেকে চারটি একনলা বন্দুক, দুটি দোনলা বন্দুক, দুটি শটগান, দুটি ওয়ান শুটার গান, দুটি বিদেশি এয়ারগান, ১১১টি রাইফেলের গুলি, ৩৬টি বন্দুকের গুলি, এয়ারগানের ৩৯২টি গুলি, ৩৭টি বন্দুকের কার্তুজ, পাঁচটি রামদা, দুটি মোবাইল ফোন, দুটি টর্চ লাইট এবং চাঁদা আদায়ের ‘টোকেন’ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।