রেডিওতে ‘রায় জেনেছেন’ নিজামী

কাশিমপুর কারাগারের কনডেম সেলে বসে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী তার রিভিউ খারিজের রায়ের খবর শুনেছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2016, 11:43 AM
Updated : 5 May 2016, 06:08 PM

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন জামায়াত আমির নিজামী।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ওই আবেদন খারিজ করে দিলে দণ্ড কার্যকরের আগে শেষ বিচারিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়।

বিগত চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী নিজামী আছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে। সেখানেই গত মার্চে তাকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। 

এ কারাগারের জেলার মো. নাশির আহমেদ বলেন, এ ধরনের কয়েদীরা চাইলে অনুমতি নিয়ে নিজেদের কাছে এক ব্যান্ডের রেডিও রাখতে পারেন। সেই রেডিওতেই নিজামী বৃহস্পতিবার দুপুরে রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর শোনেন। 

ওই খবর শোনার পর নিজামীর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল জানতে চাইলে জেলার বলেন, “একটু তো টেনশন ছিলোই।”

নিয়ম অনুযায়ী একাত্তরের বদরপ্রধান নিজামী এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। পরিবারকেও দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে।

নিজামী প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না- এই প্রশ্নে জেলার নাশির আহমেদ বলেন, “রায়ের চূড়ান্ত কপি কারাগারে এলে পরে তা জানা যাবে। এখন এ ব্যাপারে তাকে কিছু বলা হয়নি।”

নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে তার প্রত্যায়িত অনুলিপি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তখনই কারা কর্তৃপক্ষ তা পড়ে শুনিয়ে নিজামীর কাছে জানতে চাইবে- তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না।      

এর নিষ্পত্তি হলেই সরকার দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।

২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হয়।

জেলার জানান, বৃহস্পতিবার রিভিউ রায়ের দিন থাকায় আগেই কাশিমপুর কারা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়। কারাগারের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়।