বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বাবা জিয়াউর রহমান এ অভিযোগ করেন।
আহত নিশাদ তাসনিম জয়াকে (১২) বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জয়া কলারোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জয়ার বরাত দিয়ে তার বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার আমার মেয়ে স্কুলে তার সহপাঠীর কলম মেঝেতে পড়ে গেলে তা তুলে নিয়ে লিখছিল।
“এ সময় শিক্ষক মাহফুজ এসে তাকে মারধর করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে।পরে আমার স্ত্রী মেয়েকে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।”
উন্নত চিকিৎসার ওই ছাত্রীকে জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওই ছাত্রীকে মাধধর করা হয়নি দাবি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব বলেন,“মেয়েটি স্কুলে না খেয়ে এসেছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সে ক্লাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।”
শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্লাস চলাকালে মেয়েটি পেছনের বেঞ্চে বসে খাতায় আঁকাআঁকি করছিল। এ জন্য আমি তাকে বকা দিয়ে লাঠির একটি আঘাত করি।”
বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছেন জানিয়ে কলারোয়া থানার ওসি আবু সালেহ মো. মাসুদ করিম বলেন, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি, মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।