বেনাপোলে এসব আম ‘সুন্দরী’ নামে পরিচিত। বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব আম এখন বেশ পাওয়া যাচ্ছে।
বৈধপথে আম আমদানির ব্যবস্থা থাকলেও লাভ কম হয় বলে অবৈধভাবে এগুলো আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
হলুদের আভা এবং বোঁটার দিকে টকটকে লাল এই আম দেখলে মনে হবে হলুদ আলতার মিশ্রণ, যা সহজেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে।
বিক্রেতারা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন আমগুলো। দিনের পর দিন দোকানে থেকে গা কুঁচকে গেলেও নষ্ট হচ্ছে না।
বাগআচড়ার ফল ব্যবসায়ী গোলাম আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে করে ফলের রং উজ্জ্বল ও পাকানোর ব্যবস্থা করে। এরপর ফরমালিন দিয়ে আমগুলো সজীব রাখে।
ভারতের মাদ্রাজ থেকে এ আম আসে বলে জানান তিনি।
আম কিনতে আসেন শার্শার পাপিয়া সুলতানা ও মিনা বেগম।
পাপিয়া বলেন, “দেশি আম বাজারে আসেনি, তাই বেশি দাম দিয়ে ভারতীয় আম কিনেছি। অন্যান্য ফলের মতো দোকান থেকে আম কিনলাম, এতে রাসায়নিক বিষ দেওয়া কিনা সেটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।”
বেনাপোল পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) রাসিদা খাতুন বলেন, ভারত থেকে আসা আমসহ বিভিন্ন ফলের ক্যামিক্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আমাদের নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুস সালাম বলেন, স্থানীয়ভাবে ফলে রাসায়নিক ব্যবহারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ধাকায় কাজটি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈধভাবে আমদানি করলে লাভ তেমন হয় না। তাই অবৈধপথে এসব আম এখন বাংলাদেশে আসছে।