সোমবার নাটোর প্রেসক্লাবে ডাকযোগে পাঠানো ওই চিঠিটি এসে পৌঁছে বলে জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম।
ইসলামী লিবারেশন ফ্রন্টের (আইএলএফ) প্যাডে লেখা ওই চিঠিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মিজান উদ্দিন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ, সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সাংবাদিক শিবলী নোমান, আনু মোস্তফা, কাজী শাহেদ, মুক্তিযোদ্ধা বরজাহান আলী শাহজাহান, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী ও দৈনিক সানশাইন পত্রিকার সম্পাদক ইউনুস আলীর নাম রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, নাটোর পোস্ট অফিসের ডাকপিয়ন প্রেসক্লাব অফিস সহকারীর কাছে চিঠিটি দিয়ে যান। তিনি ক্লাবের চিঠির ফাইলে রেখে তা দেন।
“বেলা ২টার দিকে সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার এসে চিঠিগুলো দেখার সময় চিঠিটি নজরে এলে সাংবাদিক ও নাটোরের পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।”
রাজশাহীর কোনো এক ডাকঘর থেকে আইএফএল রাজশাহী শাখার নামে বুকিং দেওয়া খামে পাঁচ টাকার ডাক টিকিট লাগানো চিঠিটি সভাপতি/সম্পাদক নাটোর প্রেসক্লাব বরাবর পাঠানো হয় বলে জানান রেজাউল করিম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা, জিহাদের সহযোতিতা ও অংশগ্রহণ এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে আইএলএফ-এর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন।”
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী বলেন, বিষয়টি আমরা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনেছি। তবে চিঠিতে সুনির্দিষ্ট কোনো নাম ঠিকানা না থাকায় বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
“কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে এ ধরনের অপকর্ম চালাতে পারে।”