শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে একটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে।
এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক গ্রাহকের আঙুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সিম নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ না মেলায় সিম পুনঃনিবন্ধন করতে পারেননি এক কোটির বেশি গ্রাহক।
তবে এনআইডি সার্ভারে কোনো সমস্যা নেই সরকার থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে।
তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আট কোটি ৩৮ লাখ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়ে গেছে। এনআইডি সার্ভার ডাউন না। সমস্যাটা অপারেটরদের কিনা তা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সার্ভার কিন্তু এনআইডির একটা এবং প্রত্যেকটি অপারেটরের নিজস্ব আছে, “যার মাধ্যমে অপারেটররা পাঠায় এবং এনআইডি থেকে ভেরিফিকেশন হয়। এনআইডি সার্ভার ডাউন না-এটা আমাকে ওনারা কনফার্ম করেছেন। আমি বারবার অপারেটরদের ফোন করছি, কিন্তু তারা ধরছেন না। আমি এখনই চলে যাচ্ছি সরেজমিনে গিয়ে দেখব।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বা অবৈধ কাজের জন্য ব্যবহার করে বা জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করে তাদের সিমগুলো ঝড়ে পড়বে।
সময় বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শনিবার (৩০ এপ্রিল) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান।
দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভা কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এ সময় তার সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী প্রমুখ।