রুস্তম আলীর লাশ তুলে গ্রামে নিয়ে গেল পরিবার

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কাছে গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী রুস্তম আলীর লাশ কবর থেকে তুলে পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2016, 06:11 AM
Updated : 29 April 2016, 06:11 AM

তার ছোট ভাই শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে পিরোজপুরের চরকগাছিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে রুস্তম আলীকে আবারও দাফন করেছেন তারা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কোনাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মোবারক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের দেউলিয়াবাড়ি এলাকার কবরস্থান থেকে রুস্তম আলীর লাশ তোলে তার পরিবার।

তবে লাশ তুলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়েছে কি না- সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ বলছে, রুস্তমের স্বজনরা প্রশাসনকে না জানিয়েই লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে।

এসআই মোবারক বলেন, “স্থানীয়দের কাছে শুনেছি, রুস্তমের লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পিরোজপুরের চরকগাছিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।”

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রহমানও বলছেন, রুস্তম আলীর লাশ নিয়ে যাওয়ার খবর তিনিও স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুস্তমের ভাই শাহ আলম বলেন, “জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা লাশ উত্তোলন করেছি।”

অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু এটি হত্যাকাণ্ড,তাই লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।”

এদিকে রুস্তম হত্যাকণ্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুস্তম আলী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হিমেল আহমেদ রিমান্ডের প্রথম দিন কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তাকে আরও দুদিন আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।”

গতবছর অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার আগে রুস্তম আলী কাশিমপুর মহিলা কারাগারের সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। ২৫ এপ্রিল দুপুরের আগে কারাগারের ফটকের ২০০ গজ দূরে একটি ওষুধের দোকানে তাকে গুলি করে হত্যা করে মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারীরা।

ওই দিনই নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হিমেলকে গ্রেপ্তার করে।